মেনু নির্বাচন করুন

প্রধান শিক্ষক



“জ্ঞানের জন্য প্রবেশ কর, সেবার জন্য বেরিয়ে যাও”- এই মূলমন্ত্রকে হৃদয়ে লালন করে প্রগতিশীল পৃথিবী গড়ার প্রত্যয়ে রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৭১ ইং সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত দক্ষ পরিচালনা কমিটি ও অভিজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পরিচালিত হয়ে আসছে। যার ফলস্বরুপ বিগত বছরগুলোতে অত্র বিদ্যালয় থেকে অনেক শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের সাথে পাশ করে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার পর দেশ ও বিদেশে কর্মরত আছে। এছাড়াও বিদ্যালয়টি ২০০১ সালে এবং ২০১৪,২০১৫ ও ২০১৬ সালে উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেকায়েপ কর্তৃক পুরষ্কৃত হয়েছে। বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদেরকে আধুনিক, যুগোপযোগী এবং তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় সুশিক্ষিত এবং আদর্শ নাগরিক গড়ার লক্ষ্যে একাডেমিক শিক্ষার পাশাপাশি বিদ্যালয়টিতে নানা কার্যক্রম চালু আছে।

কৈশোর কালে একজন শিক্ষার্থী যখন আত্মসামাজিক পারিবারিক কিংবা পারিপার্শ্বিক কারণে বিভ্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার মুখে পড়ে দিশেহারা বোধ করে তখন তার দরকার হয় একজন দায়িত্বশীল, মমতাময়ী অথচ কঠোর অভিভাবকের।

বর্তমান বাস্তবতায় রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্যাচমেন্ট এরিয়ার পরিবারগুলোতে এর অভাব প্রকট। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মেধার সার্বিক বিকাশের লক্ষ্যে মূল্যবোধ সম্পূর্ণ শিক্ষার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের ভিশন ৪১ অর্থাৎ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীদের উপযোগী করে গড়ে তুলতে রুদ্র বয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয় বদ্ধ পরিকর। সেই লক্ষ্যে বছরের শুরু থেকে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক মানকে উন্নত করার সূদৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। শ্রেণী শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিষয়ক অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং অভিভাবক এর সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বেসিক কম্পিউটার কোর্সের পাশাপাশি আইসিটি ক্লাব, ইংরেজী ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, বিজ্ঞান ক্লাব, আবৃত্তি ও বিতর্ক ক্লাব, কিশোর-কিশোরী ক্লাব, ক্ষুদে ডাক্তার সংঘ গড়ে তুলা হয়েছে। এছাড়াও বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা, ক্রিকেট, ফুটবল ও ভলিবল সহ অন্যান্য খেলাধুলা জাতীয় ও আন্তঃবিদ্যালয় প্রতিযোগিতা নিয়মিত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক সুস্থতা, প্রযুক্তি সংলগ্ন দক্ষতা বৃদ্ধি ও বৃহত্তর প্রতিযোগীতার উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পরিচর্চার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্লাসরুম ও বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা সিসি ক্যামেরা দ্বারা সার্বক্ষণিক নজরদারি এবং প্রতিটি ক্লাস রুমে সাউন্ড সিস্টেম ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম বিশিষ্ট বিদ্যালয়টি ভবিষ্যতে র্স্মাট বাংলাদেশ নির্মানে এবং জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।